সেরা উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম এবং গরুর বৈশিষ্ট্য-২০২৪

উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম

গরু একটি গৃহপালিত প্রাণী । আগে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই দুটি একটি করে গরু ছিল । তবে বাংলাদেশের প্রতিটি বাড়িতে যে গরু ছিল তার বেশির ভাগ  ছিল দেশীয় জাতের গরু। দেশীয় জাতের গরুতে মাংস এবং দুধ উৎপাদন দুটোই কম হয়। তবে দেশীয় গরু খুব পরিশ্রমী হয় এবং বিভিন্ন রোগ কম হয় । গরুর মাংস এবং দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এখন সবাই উন্নতজাতের গরু পালনে আগ্রহী হচ্ছে। আমরা এখানে উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করবো। 

উন্নত জাতের গরু পালন করতে হলে আগে উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম ‍এবং এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হবে । গরুর মাংস উৎপাদন, দুধ দেয়ার ক্ষমতা এবং এদের গঠনগত পার্থক্যের জন্য এক জাত থেকে অন্য জাত ভিন্ন হয়ে থাকে । 

Table of Contents

গরুর উন্নত জাত কি ?

গরুর উন্নত জাত বলতে বুঝায়,  যে সকল গরুর মাংস এবং দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বেশি । আমাদের দেশে যে সকল  দেশীয় গরু পাওয়া যায় এদের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১ থেকে ৫ লিটার কিন্ত একটা উন্নত জাতের গরু থেকে ৪০+ লিটার দুধ পাওয়া যায়। 

বাংলাদেশে কি কি জাতের গরু পাওয়া যায় ?

বাংলাদেশে এখন নানা  জাতের গরু পাওয়া যায়। দুইটি  বিষয়ের উপর ভিত্তি করে গরুর জাতকে ভাগ করা যায়। 

  • গরুর উৎপত্তি 
  • দুধ ও মাংস উৎপাদন এবং ব্যহারের জন্য

দুধ ও মাংস উৎপাদন এবং ব্যহারের ভিত্তিতে, বাংলাদেশে এখন মূলত তিন জাতের গরু পাওয়া যায়। 

ক)  দেশি জাত 

খ)  বিদেশি জাত 

গ)  সংকর জাত

আবার দুধ ও মাংস উৎপাদন ক্ষমতার  ভিত্তিতে গরুর জাতকে চার ভাগে ভাগ করা যায় : 

১) অধিক মাংস উৎপাদনকারী গরু

২) অধিক দুধ উৎপাদনকারী গরু

৩)মাংস ও দুধ উৎপাদনকারী গরু

৪) ভারবাহী গরু

দেশি গরুর বৈশিষ্ট্য: 

দেশি জাতের গরু মূলত খুব পরিশ্রমী হয়। অন্যান্য জাতের জাতের তূলনায় এদের খাবারও কম লাগে। দেশি গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হয় । 

বৈশিষ্ট্যসমূহ: 

  1. বিদেশী এবং সংকর জাতের তুলনায় এরা আকারে ছোট হয়। 
  2. এদের শিং বড় হয়ে থাকে 
  3. গলার নিচে কম ভাঁজ থাকে । 
  4. এই জাতের গরুর চামড়া শক্ত হয়। 
  5. এই গরুর পা চিকন  হয়ে থাকে । 
  6. এই জাতের গরুর মাংসে চর্বি কম থাকে 
  7. গরুর মাংস অনেক সুস্বাদু হয়। 
  8. এই জাতের গরুর কুঁজ হয়। 
  9. অন্যান্য জাতের তুলনায় দুধ কম দেয় 
  10. প্রতিদিন ১ থেকে ৩ কেজি দুধ হয়। 
  11. অন্যান্য জাতের তুলনায় মাংসও কম হয় 
  12. একটি গরুর ওজন ২৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম : 

বাংলাদেশে দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণ এর জন্য এখন মানুষ ভিবিন্ন উন্নত জাতের গরু পালনে  আগ্রহী হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এখন সংকর জাতের গরু সবথেকে বেশি পাওয়া যায় । কেউ শুধু মাংস উৎপাদনকারী গরু পালনে আগ্রহী। আবার কেউ দুধ উৎপাদনে আগ্রহী । এখানে দুধ এবং মাংস উৎপাদনকারী গরু বীজের নাম আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে । 

দুধ উৎপাদনকারী গরুর বীজের নাম (Dairy breed): 

  • হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান
  • জার্সি
  • আয়ারশায়ার গরু (Ayreshire)
  • গুংয়েসি 
  • ব্রাউন সুইস 
  • শাহীওয়াল গরু
  • সিন্ধি গরু (Sindhi)
  • হারিয়ানা গরু

 মাংস উৎপাদনকারী গরুর বীজের নাম (Beef breed): 

  • অ্যাঙ্গাস
  • বিফ মাস্টার 
  • ব্রাক্ষণ 
  • হারফোর্ড
  • ডেবন
  • সর্ট হর্ন
  • হালিকর 

মাংস ও দুধ উৎপাদনকারী গরুর বীজের নাম : 

১) থারপারকার 

২) হারিয়ানা 

৩) কাংক্রেজ

৪) মিল্কিং সর্ট হর্ন

৫) রেড পোল

ভারবাহী গরুর বীজের নাম : 

  1. অমৃত মহল
  2.  ধান্নি
  3. কৃষ্ণ ভেলি
  4. অঙ্গল
  5. ভাগনারি
  6. মালভি

কয়েকটি উন্নত জাতের গরুর নাম এবং তাদের বৈশিষ্ট্য: 

শাহীওয়াল গরু
শাহীওয়াল গরু

দেশি গরু পালনের তুলনায় উন্নত জাতের গরু পালনে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তাই বর্তমানে সবাই উন্নত জাতের গরু পালনে উৎসাহি। আর এজন্য উন্নত জাতের গরুর নাম এবং তাদের বৈশিষ্ট্য জানা দরকার। তাই আমরা এখানে কয়েকটি উন্নত জাতের গরুর নাম ‍এবং তাদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেছি। 

  1. হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান 
  2. জার্সি
  3. আয়ারশায়ার
  4. শাহীওয়াল গরু
  5. গারনেসি
  6. ব্রাউন সুইস
  7. আমেরিকান মিল্কিং ডেভন
  8. অ্যাঙ্গাস (Angus)
  9. ব্রাহমান (Brahman)
  10. চারোলায়াস (Charolais)
  11. ডেভন (Devon)
  12. হেরিফোর্ড (Hereford)

ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য

হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান
হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান

হলস্টেন ফ্রিজিয়ান হচ্ছে দুধাল জাতের গরু ।এই গরুর উৎপত্তি স্থান  হচ্ছে হল্যান্ডের ফ্রিজল্যান্ডে। বর্তমানে প্রথিবীর প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়।

বৈশিষ্ট্যসমূহ:

1.     ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দিনে প্রায় ৪০ লিটার দুধ দিয়ে থাকে।

2.     এ জাতের গরু খুব অল্প বয়সে বাচ্চা দেয় ,  বকনা প্রায়  দুই বছর থেকে আড়াই বছর  বয়সে প্রথম বাচ্চা দেয়।

3.     এই জাতের গরু আকারে অনেক বড় হয়।

4.     গায়ের রং কালো এবং সাদা মিশানো থাকে।

5.     এই জাতের গরু সাধারণত টানা দুধ দিয়ে থাকে ( বাচ্চা প্রশব থেকে শুরু করে পরবর্তী বাচ্চা প্রদান করা পর্যন্ত)

6.     গাভীর ওজন সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি হয়।

7.     আর ষাঁড়ের ওজন হয়ে থাকে ৮০০ থেকে ১১০০ কেজি পর্যন্ত।

8.     মাথা লম্বা হয় এবং সোজা

9.     অন্যান্য জাতের মত ‍এই জাতের গরুর কুজ হয় না এবং পিছনের পা সোজা হয়। 

জার্সি গরুর বৈশিষ্ট্য

জার্সি একটি দুধাল জাতের গরু। এ জাতের গরু দুধ বেশি দিলেও  এরা আকারে অন্যান্য জাতের তুলনায় ছোট। এই জাতের উৎপত্তি মূলত ইংল্যান্ডের জার্সি, অ্যালডারনি, ওয়েরেন্সি, ও সার্ফ  দ্বীপসমূহে । এই জাতটি বর্তমানে ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই  পাওয়া যায়।

বৈশিষ্ট্যসমূহ:

1.     এরা আকারে তুলনামূলক ছোট।

2.     এদের রং বাদামি, লাল এবং কোনটা ধূসরও হয়ে থাকে।

3.     এদের চোখ আকারে বড়।

4.     এদের পা গুলো ছোট হয় কিন্তু ওলান আকারে বড় হয়।

5.     এই জাতের গরু দিনে ১৫—২০ লিটার  দুধ দিয়ে থাকে।

6.     এদের শিং সামনের দিকে বাঁকানো থাকে এবং পাতলা হয়।

7.     এই জাতের গরুর গড় ওজন গাভীর (৪০০ থেকে ৫০০ কেজি) এবং ষাঁড় গরুর (৬০০ থেকে ৮০০ কেজি) ।

8.     বাছুরের গড় ওজন (২৫ থেকে ২৭ কেজি)। 

আয়ারশায়ার  গরুর বৈশিষ্ট্য  (Ayreshire):

আয়ারশায়ার জাতের গরুর আদি জন্মস্থান স্কটল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে আইর দ্বীপপুঞ্জে। এখন সব দেশেই পাওয়া যায়। এরা মূলত দুধাল জাত হিসেবে পরিচিত । 

বৈশিষ্ট্যসমূহ:

1.     এরা আকারে মাঝারি সাইজের হয়।

2.     এদের গায়ের রং লালের মধ্যে সাদা সাদা ফোঁটা।

3.     আয়ারশায়ার জাতের গাভীর গড় ওজন ৫৫০ থেকে ৭০০ কেজি হয় এবং ষাঁড়ের গড় ওজন ৮৫০ থেকে ১১৫০ কেজি হয়।

4.     এদের শিং লম্বা হয় এবং এরা বেশ শক্তিশালী হয়।

5.     বাছুরের গড় ওজন (৩০ থেকে ৪০ কেজি )।

6.     বাছুর জন্মের সময় খুব সতেজ এবং সবল হয়ে থাকে ।

7.     এরা দিনে ১৯ থেকে ২৭ কেজি দুধ দিয়ে থাকে। 

মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত ও বৈশিষ্ট্য

অ্যাঙ্গাস (Angus) জাতের গরু

অ্যাঙ্গাস মূলত মাংস উৎপাদনকারী একটি গরুর জাত । অ্যাঙ্গাস এর উৎপত্তি হচ্ছে  স্কটল্যান্ড, বর্তমানে আমেরিক অ্যাঙ্গাস খুব জনপ্রিয়। 

বৈশিষ্ট্যসমূহ: 

  1. অ্যাঙ্গাস কালো এবং লাল দুই বর্ণেরই হয়ে থাকে । 
  2. এরা শিং  বিহীন হয়ে থাকে। 
  3. এদের মাথার উপরিভাগ উচু প্রকৃতির হয়। 
  4. এদের দেহ লম্বা আকৃতির  হয়। 
  5. চামড়া এবং লোম মসৃণ প্রকৃতির 
  6. অ্যাঙ্গাসের প্রতিদিন গড় মাংস বৃদ্ধির হার ১.২৬ কেজি। 
  7. অ্যাঙ্গাসের সর্বোচ্চ ওজন ৮৫০ পর্যন্ত হয়। 

ব্রাহমা জাতের গরু (Brahman)

ব্রাহমা অধিক মাংস উৎপাদনকারী একটি গরুর জাত। ব্রাহমা মূলত ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত  তবে বাংলাদেশে এদের ব্রাহমা নামে ডাকা হয়। এই গরুর উৎপত্তি হচ্ছে ভারতে । বর্তমানে আমেরিকান ব্রাক্ষণ সবচেয়ে জনপ্রিয়। এখন পৃথিবীর সব দেশেই এই জাতের গরু পাওয়া যায়। 

বৈশিষ্ট্যসমূহ : 

  1. ব্রাহমা মূলত ধূসর এবং লাল বর্ণের হয় তবে কালো, বাদামি এবং সাদা রং এর হয়। 
  2. এই জাতের  ষাঁড় গরুর  কুঁজ আকারে অনেক বড় হয় কিন্তু গাভীর কুঁজ তুলনামূলক ছোট হয়
  3. ব্রাহম গরুর দেহ খুব দীর্ঘ এবং লম্বা হয়
  4. এদের চামড়া পুরু,মোটা,  কোমল এবং ঢিলাঢালা প্রকৃতির 
  5. এদের গলকম্বল অনেক বড় হয়
  6. এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল
  7. অল্প খাবারে অধিক মাংস উৎপাদন করে
  8. ষাঁড় গরুর গড় ওজন ৮০০ থেকে ১০০০ কেজি পর্যন্ত হয়  

হেরিফোর্ড জাতের গরু (Hereford)

মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাতগুলোর মধ্যে হেরিফোর্ড খুবই জনপ্রিয় একটি জাত। এই গরুর উৎপত্তিস্থল ইংল্যান্ড এর হেয়ারফোর্ড এ। 

বৈশিষ্ট্যসমূহ: 

  1. এই জাতের গরু সাধারণত লাল বর্ণের হয় এবং মাঝে সাদা বর্ণ থাকে । 
  2. এদের মাথা এবং মুখ সাদা 
  3. এদের মাথায় শিং থাকে না । 
  4. এরা খুব শক্তিশালী এবং শান্ত প্রকৃতির 
  5. এই জাতের গরুর প্রতিদিন গড় মাংস বৃদ্ধির ১.২৫ কেজি
  6. ড্রেসিং কারকাস প্রায় ৩২৬  কেজি ওজনের হয়। 

কোন জাতের গরু মাংসের জন্য ভালো ?

উপরে আমরা মাংস উৎপাদনকারী যে কয়টি গরু নিয়ে আলোচনা করেছি এদের সবগুলোই মাংস উৎপাদনের জন্য খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনক। তবে অ্যাঙ্গাস জাতের গরু সবথেকে বেশি লাভজনক হয় কারন এদের মোট ওজনের ৫০% সলিড মাংস পাওয়া যায় । এদের খাবারের পরিমাণ ও তুলনামূলক কম লাগে । এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি । আমাদের বাংলাদেশে ব্রাহমা জাত অনেক জনপ্রিয় এবং লাভজনক বলে খামারিরা মনে করেন। এদের মাংস উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশী। 

ট্যাগসমূহ:

উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম; কয়েকটি উন্নত জাতের গরুর নাম; কোন জাতের গরু ভালো ; দেশি গরুর বৈশিষ্ট্য; গরুর বৈশিষ্ট্য; হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান ; জার্সি; আয়ারশায়ার; শাহীওয়াল গরু; গারনেসি;ব্রাউন; সুইস; আমেরিকান মিল্কিং ডেভন; অ্যাঙ্গাস (Angus); ব্রাহমান (Brahman); চারোলায়াস (Charolais); ডেভন (Devon); হেরিফোর্ড (Hereford); গরুর বীজ চেনার উপায়; দেশি গরুর জাত; মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাতের নাম; কোন জাতের গরু মাংসের জন্য ভালো

জিজ্ঞাসিব প্রশ্নবলী ( FAQ)

উন্নত জাতের গরুর নাম কি?

কয়েকটি জনপ্রিয় উন্নত জাতের গরুর নাম হল: 

হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান ,জার্সি,আয়ারশায়ার,শাহীওয়াল গরু,গারনেসি,ব্রাউন সুইস,আমেরিকান মিল্কিং,ডেভন,অ্যাঙ্গাস (Angus),ব্রাহমান (Brahman),চারোলায়াস (Charolais),ডেভন (Devon),হেরিফোর্ড (Hereford)।

কোন জাতের গরুর মাংস সবচেয়ে ভালো?

অ্যাঙ্গাস, ওয়াগিউ, হেয়ারফোর্ড, শারোলাইস, এবং লিমুজিন জাতের গরুর মাংস স্বাদে সবথেকে বেমি জনপ্রিয়। তবে অ্যাঙ্গাস জাতের গরুর মাংস খুব সুস্বাদু আর এজন্যই মাংসের চাহিদা অনুযায়ী এজাত প্রথম। 

কোন গরুর দুধ সবচেয়ে বেশি?

হলস্টেন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু সবথেকে বেশি দুধ দেয়। দিনে ৩০ থেকে ৪০ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়। 

প্রতিদিন কত লিটার দুধ খাওয়া উচিত?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন তিন কাপ (৭২০ মি.লি) দুধ খাওয়া উচিত। 

সংকর জাতের গরুর নাম কি?

উন্নত জাতের গরুর সাথে দেশি গরুর সংশ্রিণে যে জাত হয়  তাকে সংকর জাত বলে । সাধারণত হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান, জার্সি, আয়ারশায়ার গরু (Ayreshire),গুংয়েসি ,ব্রাউন সুইস , শাহীওয়াল গরু এই জাতগুলোর সাথে দেশি গরুর মিশ্রণ করা হয়। 

রেফারেন্স: 

“ গরু পালন” -লেখক ( মৃত্যুঞ্জয় রায়),

 “ গরু মোটাজাতকরণ ও ছাগল পালন” –  লেখক (ড. শাহাবুদ্দিন খান)

“আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা এবং দুগ্ধবতী গাভী পালন”-লেখক (ড. মাহবুব মোস্তফা

খামার ই

উপসংহার:

উপরে আমরা যে কয়েকটি উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম এবং গরুর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচন করেছি এর প্রত্যেকটি জাতের গরু পালন করাই লাভজনক। আধুনিক যুগে এখন গরু পালন করা সহজ হয়েছে । 

আগে একটি গরু থেকে প্রতিদিন  সর্বোচ্চ ১ থেকে ৫ লিটার দুধ পাওয়া যেত । কিন্ত উন্নত জাতের গরু পালনে এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। 

উন্নত জাতের গরু চিনিবার উপায়, উন্নত জাতের গরুর বীজের নাম এবং গরুর বৈশিষ্ট্য, মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত, দুধ উৎপাদনকারী গরুর জাত সর্বপরী উন্নত জাতের গরু পালনের জন্য গরুর উন্নত জাত নির্ধারণ করতে এই আর্টিকেলটি আপনাদের সাহায্য করবে।