আশানুযায়ী গরু থেকে দুধ এবং মাংসের উৎপাদন পাওয়ার জন্য একটি গরুর দৈনিক খাদ্য তালিকা মেনে চলা অনেক জরুরী। আমরা যেমন সুস্থ থাকার জন্য হাটা-চলা, খাবার খাওয়া বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলি তেমনি গরুর ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে চলা উচিত । গরুকে দৈনিক কতটুকু খাবার খাওয়ানো দরকার , কি কি খাবার দেওয়া দরকার তার বিভিন্ন তালিকা মেনে চলা উচিত। যেমন:
ওজন অনুযায়ী গরুর খাদ্য তালিকা, ষাঁড় গরুর জন্য আলাদা ষাঁড় গরুর খাদ্য তালিকা, দুধের গরুর জন্য আলাদা দুধের গরুর খাবার তালিকা এবং বকনা গরুর খাদ্য তালিকা ইত্যাদি।
একটি গরুর দৈনিক খাদ্য তালিকা মেনে চললে গরুকে সুস্থ রাখা যায়, গরু বিভিন্ন রোগে কম আক্রান্ত হয় । এবং গরু থেকে আশানুযায়ী ফল পাওয়া যায়। গরুর ওজন, গরুর জাত এবং বয়স অনুযায়ী আলাদা খাদ্য তালিকা থাকাই ভাল। আমরা এখানে প্রতিটি খাদ্য তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
Table of Contents
গরুর খাদ্য তালিকা কি ?
গরুর খাদ্য তালিকা হচ্ছে এমন একটি তালিকা যেখানে গরু যাতে সঠিক পুষ্টি পায় সেজন্য বিভিন্ন খাবারের সমন্বয়ে গঠিত খাবারের তালিকা ( দানাদার খাদ্য, ঘাস, খড়, ভূসি) এরং গরুকে কখন কোন খাবার খাওয়ানো হবে ( সকালে, দুপুরে, বিকালে, রাতে), কি পরিমাণ খাবার দেওয়া হবে তার একটি তালিকা। গরুর জাতের প্রকারভেদ, দুধ এবং মাংস উৎপাদন ক্ষমতা এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে খাদ্য তালিকা ভিন্ন হয়। প্রতিটি খাদ্য তালিকাতেই সুষম খাদ্য রাখা হয়।
সুষম খাদ্য কি ?
যে খাদ্য তালিকাতে নিচের ৬ টি উপাদান বিদ্যমান থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলা হয় । সুষম খাদ্য শরীরের সঠিক বৃদ্ধি,কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো হল:
- শর্করা বা শ্বেতসার
- প্রোটিন বা আমিষ
- তেল বা চর্বি
- ভিটামিন
- খনিজ লবণ
- পানি
গরুর খাদ্য তালিকা তৈরী করার আগে গরুর খাবার কয় ধরনের হয় জানা উচিত । গরুর খাবারকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. ছোবড়া বা আঁশ জাতীয় খাবার
২. দানাদার খাবার
ছোবড়া বা আঁশ জাতীয় খাবার:
ছোবড়া বা আঁশ জাতীয় খাবার বলতে বুঝায় যে সকল খাবার প্রধানত ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ এবং প্রাণীর হজমে সহয়তা করে । এ জাতীয় খাবারে আয়তনের তুলনায় পুষ্টি উপাদান কম থাকে। কিন্ত এ জাতীয় খাবার সহজে হজম হয় । যেমন: খড়, ভুসি, কাচা ঘাস, সাইলেজ, ধান বা গমের খোসা ইত্যাদি।
দানাদার খাবার :
গরুর দানাদার খাবার বলতে বুঝায়, যে খাবারগুলো সাধারণত দানা আকারে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সহজে পাওয়া যায় এবং উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন । যেমন: ভুট্রা দান, গমের দানা. সয়াবিনের খৈল , সরিষা খৈল, চাল, শুকনা মাছের গুড়া, মাংসের কণা ইত্যাদি।
একটি গরুর দৈনিক খাদ্য তালিকা
একটি গরুর দৈনিক খাদ্য তালিকা নির্ধারণ করার জন্য কয়েকটি বিষয়ের উপর বিবেচনা করা হয় যেমন: গরুর বয়স, গরুর ধরন, গরুর ওজন, স্বাস্থ্য কেমন এবং গরুর উৎপাদনের ধরন ( দুধ বা মাংস উৎপাদনকারী )। নিচে একটি গরুর খাবারের সাধারণ তালিকা দেওয়া হল:
গরুকে দানাদার ও অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর নিয়ম :
গরুকে দানাদার ও অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর জন্য নিচে একটি নিয়ম দেওয়া হল আপনারা এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
সকালের খাবার :
সবুজ ঘাস: ১০ থেকে ১৫ কেজি
খড়: ২ থেকে ৩ কেজি
দানাদার খাবার: ১.৫ থেকে ২ কেজি
পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে
দুপুরের খাবার :
সবুজ ঘাস: ৫ থেকে ৭ কেজি
খড়: ১ থেকে ২ কেজি
সাইলেজ: ৫ থেকে ৭ কেজি
দানাদার খাবার: ১ থেকে ২ কেজি
পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে
বিকেলের খাবার :
সবুজ ঘাস: ১০ থেকে ১৫ কেজি
খড়: ২ থেকে ৩ কেজি
দানাদার খাবার: ১.৫ থেকে ২ কেজি
পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে
ষাঁড় গরুর খাদ্য তালিকা
গরুকে বেশি খাবার খাওয়ালে তাড়াতাড়ি মোটা হবে এটা ভুল কথা। গরুকে সঠিক সুষম খাবার দিতে হবে এবং নিয়ম মেনে খাওয়াতে হবে। গরু মোটাতাজা করার জন্য গরুর ওজনের ১.২% দানাদার খাবার দেওয়া উচিত এবং দানাদার খাবারের চার গুন আশজাতীয় খাবার যেমন: কাচা ঘাস, খড়, সাইলেজ এবং ইউরিয়া।
গরুকে দিনে দুইবার খাবার খাওয়ানো উত্তম । একবার সকালে এবং আর একবার বিকালে । এতে গরু হজম করার সময় পাবে। নিচে ১০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য একটি কম খরচের খাদ্য তালিকা দেওয়া হল:
খাদ্য উপাদানসমূহ | খাদ্যের পরিমাণ |
কাচা ঘাস | ৮ থেকে ১০ কেজি |
দানাদার খাবারের মিশ্রণ | ৩ কেজি |
ইউরিয়া | ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম |
পানি | ৫০ থেকে ১০০ কেজি |
গরুর দানাদার খাবার তৈরির নিয়ম
নিচে গরুর দানাদার খাবার তৈরির নিয়ম ( ১০০ কেজির মিশ্রণের জন্য ) দেওয়া হল:
খাদ্য উপাদান | পরিমাণ |
গমের ভাঙ্গা গুড়া | ৩০ কেজি |
ভুট্রা ভাঙ্গা গুড়া | ২২ কেজি |
ধানের কুড়া | ২৩ কেজি |
ডাল | ১০ কেজি |
তৈলেন খৈল | ১০ কেজি |
লবণ | ১ কেজি |
চিটা গুড় | ৩ কেজি |
ইউরিয়া | ১ কেজি |
দুধের গরুর খাবার তালিকা
গ্রামে একটি প্রবাদ আছে, গাভী গরুর মুখে দুধ। দুধের গরু থেকে দুধের উৎপাদন ভাল পেতে হলে খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। দুধের গাভীকে সঠিকভাবে সুষম খাবর দিতে হবে। গরুকে দানাদার এবং আশজাতীয় খাবার সঠিক পরিমাণে দিতে হবে। গরুর খাদ্য তালিকায় আশঁজাতীয় খাদ্যের মধ্যে থাকতে পারে- কাঁচা ঘাস ( নেপিয়ার ঘাস, জাম্বো ঘাস, লসার্ন ঘাস) ,ভুট্রার খড়, ধানের খড় ইত্যাদি। আর দানাদার খাদ্যের মধ্যে ভুট্রার গুড়া, গমের ভুসি, ধানের কুড়া, তৈলের খৈল ইত্যাদি ।
একটি দুধের গরুর প্রতিদিনের সুষম খাদ্যের তালিকা:
খাদ্যের উপাদানসমূহ | পরিমাণ |
কাঁচা ঘাস | ১০ থেকে ১৫ কেজি |
শুকনো খড় | ৪ থেকে ৬ কেজি |
দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ | ৩ থেকে ৫ কেজি |
লবণ | ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম |
পানি | ৫০ থেকে ১০০ লিটার |
গাভী গরুর দানাদার খাদ্য তালিকা :
খাদ্যের উপাদানসমূহ | পরিমাণ |
গমের ভুসি | ২৫ কেজি |
ভুট্রার গুড়া | ২৫ কেজি |
চালের / ধানের কুড়া | ২০ কেজি |
খেসারি /ডাল /ছোলা / মটর ভুষি | ১০ কেজি |
সরিষা অথবা সয়াবিনের খৈল | ১০ কেজি |
চিটা গুড় | ২ কেজি |
লবন | ০.৭৫ কেজি |
ইউরিয়া | ২ কেজি |
ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স | ০.২৫ কেজি |
গাভীকে খাবার দেওয়ার নিয়ম বা পদ্ধতি:
গাভীকে সারাদিন খাবার দিলে বেশি দুধ হবে এটা ভুল বরং গাভী অসুস্থ হবে । গাভীকে অবশ্যই খাবার হজম করার সময় দিতে হবে। এজন্য গাভীকে সকালে এবং বিকালে খাবার দেওয়াই উত্তম । গাভীকে প্রথম ৩ লিটার দুধের জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কেজি দানাদার খাবার দেওয়া উচিত। এবং পরের ৩ লিটার দুধের জন্য ১ কেজি করে খাবার বাড়াতে হবে। গাভীকে প্রচুর কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে । একটি গাভীকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজি কাঁচা ঘাস দিতে হবে। সকালে খড় এবং কাচা ঘাস দিলে গরুর হজম শক্তি বেশি সক্রিয় থাকে। সকালে ৮ থেকে ১০ কেজি কাচা ঘাস দিতে হবে এবং দানাদার খাদ্য দিতে হবে ২ থেকে ৩ কেজি পরিমাণ। আবার বিকালে ৩ থেকে ৪ কেজি দানাদার খাবার এবং ৮ থেকে ১০ কেজি কাচা ঘাস দিতে হবে এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে।
বকনা গরুর খাদ্য তালিকা
বকনা গরুর বৃদ্ধির জন্য সঠিক খাদ্য দিতে হবে । বকনা গরুর জন্য খাবার তৈরীর সময় বকনার বয়স, স্বাস্থ্য এবং ওজন বিবেচনা করা হয়। বকনা গরু জন্মগ্রহন করার পর থেকে ৬ থেকে ৯ মাস শিশু গরু হিসেবে ধরা হয়। বকনাকে প্রথম ১ থেকে ২ মাস শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত । কারন প্রথম দিকের দুধে অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে যা বকনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বকনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর খাবার ও বাড়াতে হবে । ৩ থেকে ৬ মাস বয়সে কাচা ঘাস , খড় এবং পুষ্টিকর খাবর দেয়া উচিত। এই সময় প্রতিদিন ২-৩ কেজি কাচা ঘাস ১-২ কেজি গম বা ভুট্রার গুড়া এবং ১ কেজি পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে এবং প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে । নিচে একটি বকনা গরুর খাদ্য তালিকা দেওয়া হল।
বয়স (মাসে) | কি কি গ্রহণযোগ্য খাদ্য |
০ থেকে ৩ মাস | বকনার ওজনের ১০% হারে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার শালদুধ খাওয়াতে হবে। এই সময় দানাদার খাবারের প্রয়োজন নেই। |
৩ থেকে ৬ মাস | প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার দুধ খাওয়াতে হবে এবং এই সময় কচি ঘাস , এবং সামান্য পরিমাণে দানাদার খাবার যোগ করতে হবে। |
৬ থেকে ১২ মাস | প্রতিদিন ২ বার দুধ খাওয়াতে হবে এবং ৫ থেকে ৭ কেজি কাচা ঘাস দিতে হবে । এবং দৈনিক ০.৫ থেকে ১ কেজি দানাদার খাবার দিতে হবে। |
১২ মাস + | ধীরে ধীরে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে এবং ঘাস ও দানাদার খাবার বাড়াতে হবে। এই সময় ঘাসের পরিমাণ ৭ থেকে ৮ কেজি এবং দানাদার খাদ্য ১ থেকে ২ কেজি দিতে হবে। |
ট্যাগসমূহ:
একটি গরুর দৈনিক খাদ্য তালিকা; ষাঁড় গরুর খাদ্য তালিকা; দুধের গরুর খাবার তালিকা; ওজন অনুযায়ী গরুর খাদ্য তালিকা; গাভী গরুর দানাদার খাদ্য তালিকা; বকনা গরুর খাদ্য তালিকা; গরুর দানাদার খাবার তৈরির নিয়ম; গরুর খাদ্য; গরুর খাবার ; গরুর খাদ্য তালিকা; ষাঁড় গরুর খাদ্য তালিকা; ষাড় গরুর খাবার তালিকা; গরুর দানাদার খাদ্যের তালিকা; গরুর দানাদার খাদ্য তালিকা; গরুর খাবারের তালিকা
জিজ্ঞাসিব প্রশ্নবলী ( FAQ)
একটি গরু কত কেজি খাবার খায়?
গরুর প্রতিদিন কি পরিমাণ খাবার খাবে তা নির্ভর করে তার বয়স , ওজন, মাংস উৎপাদন , দুধ উৎপাদন এবং কাজের ধরন অনুযায়ী। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গরু তার ওজনের ২ থেকে ৩ % শুকনা খাবার খাই। যদি একটি গরুর ওজন ৫০০ কেজি হয় সে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি শুকনা খাবার খাবে।
গরুর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার কোনটি?
যে খাবারগুলো গরুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং স্বাস্থ্য ভাল রাখে সেগুলোই সবচেয়ে ভালো খাবার । যেমন: ঘাস, সাইলেজ, ভুষি, তুষ ( গম , ভুট্রা, ধারে গুড়া) ,কনসেন্ট্রেট ফিড , মিনারেল ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট।
গাভীর খাদ্য কি?
সাধারণত গাভীর খাদ্য তালিকায় এই খাবার গুলো দেওয়া হয় : ঘাস, সাইলেজ, তুষ , শস্য,ভুষি , মিনারেল, ভিটামিন, পানি।
গরু কতবার খাবার দেয়?
গরুকে সাধারণত দিনে 3 বার খাবার দেওয়াই উত্তম। তবে অনেক খামারি দিনে দুইবার খাবার দেয়।
দুগ্ধজাত গরুর প্রোটিন খাবার কোনটি?
দুগ্ধজাত গরুর জন্য প্রোটিনজাতীয় খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গরুর স্বাস্থ্য এবং দুধ উৎপাদনে এর ভূমিকা অপরিসীম । প্রোটিনজাতীয় খাদ্যগুলো হল: সয়াবিন খৈল ,সরিষার খৈল , পাম কেক , গমের ভুষি , চালের ভুষি , লুসার্ন , ক্লোভার হে , ডালের খুদ ইত্যাদি।
রেফারেন্স:
“গরু পালন” – লেখক: মৃত্যুঞ্জয় রায়
“গরু মোটাজাতকরণ ও ছাগল পালন” – লেখক: ড. শাহাবুদ্দিন খান
“আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা এবং দুগ্ধবতী গাভী পালন” – লেখক: ড. মাহবুব মোস্তফা
উপসংহার:
খামারীদের জন্য গরুর সুস্বাস্থ্য রক্ষা এবং দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি গরুর দৈনিক খাদ্য তালিকা মেনে খাবার দেওয়ার গুরুত্ব অনেক। গরুর খাদ্য তালিকা মেনে চললে গরুর সঠিক পুষ্টি সরবরাহ হয় । এই থেকে দানাদার এবং আঁশজাতীয় খাবার ভাল সমান্বয় হয় ফলে গরুর হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহয়তা হয়।
গরু থেকে আশানুযায়ী ফল পেতে হলে গরুর খাদ্য ব্যবস্থাপনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য খাদ্য তালিকা তৈরী করতে হবে । গরুর পালন করার উদ্দেশ্য সবার এক না । কেউ দুধ উৎপাদনের জন্য , কেউ মাংস উৎপাদন করার জন্য । তাই উদ্দেশ্য অনুযায়ী গরুর খাদ্য তালিকা ভিন্ন হয়। যেমন: ষাঁড় গরুর খাদ্য তালিকা, দুধের গরুর খাবার তালিকা, ওজন অনুযায়ী গরুর, খাদ্য তালিকা, গাভী গরুর দানাদার খাদ্য তালিকা, বকনা গরুর খাদ্য তালিকা ইত্যাদি।
একটি ভাল সুষম খাদ্য তালিকায় গরুর দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন শর্করা, প্রোটিন, তেল, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং পানি ইত্যাদি থাকে, যা গরুকে সু্স্থ রাখে , গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । গরুর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সঠিকভাবে পালন করলে গরুর রোগবালাই কম হয়, এবং দুধ ও মাংস উৎপাদন ভাল হয়। সঠিকভাবে খাদ্য ব্যবস্থাপনা , নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, এবং গরুর বয়স , ওজন এবং স্বাস্থ অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করলেই গরু পালনে সফলতা আসবে।
Leave a Reply